আমাদের বিষয়ে:
এনাম কমিটির সুপারিশকৃত সাংগঠনিক কাঠামোতে সলিসিটর উইং-এর জনবল সংখ্যা সর্বমোট ৭৩ জন। তার মধ্যে সলিসিটর ১ জন, উপ-সলিসিটর ৮ জন, সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব ৮ জন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ৮ জন, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ৯ জন, অফিস সহকারী ৯ জন, মুদ্রাক্ষরিক ৯ জন, এমএলএসএস ১৭ জন, নৈশপ্রহরী ১ জন, গাড়িচালক ১জন ও ঝাড়ুদার ২ জন। সলিসিটর অনুবিভাগের কার্যাবলি নিম্নরূপঃ
১. সরকার যে সকল রীট/দেওয়ানী/ফৌজদারী/এটি/এএটি মোকদ্দমায় বাদী/বিবাদী থাকেন, সে সকল মোকদ্দমায় সরকার পক্ষে হলফনামা সম্পাদনসহ এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড/প্যানেল আইনজীবী নিয়োগপূর্বক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতঃ সুষ্ঠুভাবে মামলা পরিচালনার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ;
২. বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/অধিদপ্তর কিংবা স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক প্রেরিত রীট/দেওয়ানী/ফৌজদারী/এটি/এএটি মোকদ্দমা হতে উদ্ভূত বিষয়াদি সম্পর্কে আইনগত মতামত প্রদান;
৩. নিম্ন আদালত হতে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ পর্যন্ত বিভিন্ন আদালতে সরকারে পক্ষে/বিপক্ষে বিচারাধীণ রীট/দেওয়ানী/ফৌজদারী/এটি/এএটি মোকদ্দমাসমূহ সরকার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে কাগজপত্র ও তথ্যের প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/দপ্তর/স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং সরকারী আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতঃ উক্ত কাগজপত্র/তথ্যাদি/পারস্পরিক ভিত্তিতে সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ;
৪. সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ বা হাইকোর্ট বিভাগে সরকারের পক্ষে/বিপক্ষে দায়েরকৃত কোন রীট দেওয়ানী/ফৌজদারী/এটি/এএটি মোকদ্দমা চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি হলে রায়ের জাবেদা নকল সংগ্রহপূর্বক মামলার ফলাফল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/দপ্তর বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ;
৫. রাষ্ট্রপক্ষে আপীল দায়ের করার জন্য জিপি/পিপি’র মতামত ও নিম্ন আদালতের নথিপত্র প্রাপ্ত হলে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করা যাবে কি-না তদসম্পর্কে মতামত প্রদান এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে আপীল দায়েরের ব্যবস্থা গ্রহণ;
৬. অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় কর্তৃক মেমো অব আপীল তৈরী এবং সলিসিটর অফিসে প্রেরণ করার বিষয় তদারকি;
৭. দায়রা জজ কর্তৃক মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রদানের বিরুদ্ধে আসামী কর্তৃক হাইকোর্ট বিভাগে আপীল দায়ের করা হলে সংশ্লিষ্ট মামলার ‘পেপার বুক’ তৈরী হওয়ার পর তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে প্রেরণঃ
৮. যাচিত হলে ভূমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অগ্রিম প্রদানের ক্ষেত্রে উক্ত ভূমির স্বত্ব সম্পর্কে ছাড়পত্র (Clearance) প্রদান;
৯. জিপি/পিপি, অতিরিক্ত পিপি, অতিরিক্ত জিপি, বিশেষ পিপি, এপিপি, এজিপি, এলজিপি নিয়োগ, ছুটি, অব্যাহতি, অভিযোগ তদন্ত ও শৃঙ্খলামূলক কার্যক্রম গ্রহণ;
১০। বাংলাদেশ ল’ অফিসার্স অর্ডার, ১৯৭২ (পিও নং ৬/৭২) অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল/ এডিশনাল অ্যাটর্নি জেনারেল/ এসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল/ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ, অব্যাহতি, ও অভিযোগ তদন্ত বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদন;
১১। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সার্কুলার অনুযায়ী বেসরকারী আইনজীবী নিয়োগ প্রদান;
১২। সরকারী আইন কর্মকর্তাগণের মাসিক রিটেইনার ফি, দৈনিক ফি, ভ্যলুয়েশন এর উপর ফি নির্ধারণ/বৃদ্ধিকরণ বিষয়ক কার্যাদি সম্পাদন;
১৩। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশের নিমিত্ত সলিসিটর অনুবিভাগের সকল প্রকার নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলী, দরপত্র বিজ্ঞপ্তি, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায়, গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ ও অফিস আদেশের কপি আইসিটি সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরণ;
১৪। সলিসিটর অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণের বেতনের বিল, অন্যান্য বিল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগে সরকার পক্ষে নিয়োজিত আইন কর্মকর্তাগণের বিল এবং সরকারী মোকদ্দমায় নিয়োজিত বিশেষ আইনজীবীগণের দাখিলকৃত বিল, সরকারী মামলা পরিচালনার্থে মামলার খরচ (যথা-কোর্ট ফি ইত্যাদি) এবং অন্যান্য যাবতীয় বিল ও ভাউচার নিরীক্ষা ও অনুমোদন।
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে একজন অ্যাটর্নি জেনারেলসহ মোট ১৭৪ জন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল = ৫০ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল = ৯৫ ) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও প্রশাসনিক আপীল ট্রাইব্যুনালে যথাক্রমে ৩৭ ও ২৩ জন প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে মোট ২১ জন এ,ও,আর (এডভোকেট অন রেকর্ড) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ের আদালত সমূহে সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করার জন্য ৬৪ জন জিপিসহ মোট ৭০০ আইন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত জিপি, এজিপি ও এলজিপি), রাষ্ট্রপক্ষে ফৌজদারী মামলা পরিচালনার জন্য ৬৪ জন পিপিসহ মোট ২৫২০ জন আইন কর্মকর্তা (বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও এপিপি) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।